Header Ads

ফটোশপের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল! যা আপনার জানা জরুরী!


ছবি এডিটিংয়ের জন্য বরাবরই এডোবি ফটোশপ প্রশংসিত হয়ে এসেছে। এর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য একজন ইমেজ এডিটরকে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করার সুযোগ দেয়। ছবির গুণগত মান বজায় রেখে এর বহুমুখী ব্যবহার ছবিকে ভিন্নমাত্রা এনে দিতে পারে। কিন্তু আমরা আজকে কোন ছবি এডিটিং নয়, বরং ফটোশপের কিছু স্মার্ট কৌশল সম্পর্কে জানবো। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ফটোশপের কৌশল সম্পর্কেঃ
  • আইকন বানানোঃ
বিভিন্ন প্রয়োজনে আইকন বানানোর প্রয়োজন হয়। ইচ্ছামত আইকন বানাতে হলে বিভিন্ন সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে হয়। কিন্তু জনপ্রিয় ছবি সম্পাদনার সফটওয়্যার এডোবি ফটোশপ দ্বারা যদি আইকন বানানো যেত তাহলে কেমন হতো! একটি প্লাগইন দ্বারা ফটোশপ থেকেই আইকন বানানো যায়।
এজন্য ICO (Windows Icon) Format নামের এই প্লাগইনটি www.telegraphics.com.au/sw/ থেকে ডাউনলোড করে আনজিপ করুন। এখন ICOFormat.8BI ফইলটি কপি করে ফটোশপের প্লাগইন ফোল্ডারে থাকা File Formats (C:\Program Files\Adobe\Adobe Photoshop CS3\Plug-Ins\File Formats) ফোল্ডারে পেস্ট করুন।
এবার ফটোশপ চালু করে যেকোনো ছবি ওপেন করুন। ছবিটির সাইজ সর্বোচ্চ ২৫৬X২৫৬ পিক্সেলের হতে হবে। এখন File মেনু থেকে Save As এ যান এবং Format থেকে ICO (windowsicon)(*.ICO) নির্বাচন কররে ICO ফরম্যাটে সেভ করুন।
প্লাগইনটি ফটোশপের সকল ভার্সনে সাপোর্ট করবে।
  • সহজে ছবির সাইজ পরিবর্তন করাঃ
বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন কারণে আমাদের তোলা ছবিগুলোকে ছোট বা বড় করার প্রয়োজন হয়। এজন্য বিভিন্ন সফটওয়্যারও আছে। কিন্তু উইন্ডোজ এক্সপিতে সহজে এক বা একাধিক ছবিকে রিসাইজ করা যায়। এজন্য প্রথমে ছবিগুলো সিলেক্ট করুন এবং মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Resize Pictures -এ ক্লিক করুন। এবার Resize Pictures ডায়ালগ থেকে পছন্দমত (640×480,800×600,1024×768, 240×320) সাইজ সিলেক্ট করে OK করুন। ফলে নতুন নামে (শেষে Small/Medium/Large/WinCE) একই ফোল্ডারে রিসাইজকৃত ছবির কপি তৈরী হবে। কিন্তু আপনি যদি আসল ছবিগুলোকে রিসাইজ করতে চান বা ইচ্ছামত সাইজ নিতে চান তাহলে Advanced থেকে Resize the original pictures (don’t create copies) চেক করে আসতে হবে। আপনার উইন্ডোজ এক্সপিতে যদি Resize Pictures অপশনটি না থাকে তাহলে http://download.microsoft.com/download/whistler/Install/2/WXP/EN-US/ImageResizerPowertoySetup.exe লিংক থেকে প্লাগইনটি ডাউনলোড করে ইনষ্টল করে নিতে হবে।
  • জি ফটোস্পেসে ছবি রাখাঃ
সেবাটি গুগলের না হলেও যাদের গুগলে একাউন্ট আছে তারা জি ফটোস্পেসের জিমেইলের সমপরিমান যায়গায় ছবি রাখতে এবং শেয়ার করতে পারবে। এজন্য ৬.৮ মেগাবাইটের সফটওয়্যারটি www.gphotospace.com থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীরা এ্যাড-অন্স (উইন্ডোজ এবং ম্যাক) ইনস্টল করেও ব্যবহার করতে পারবেন। এবার জি ফটোস্পেসের (ফায়ারফক্স হলে Tools > GPhotospace. থেকে বা স্ট্যাটাসবারের ডানে আইকন থেকে) চালু করে জিমেইলের ইউজার পাসওয়ার্ড দ্বারা লগইন করুন। এখানে সরাসরি এ্যালবাম তৈরী করে ছবি আপলোড করা যাবে এবং আপনার জিমেইল আইডি যদি nil.babu হয় তাহলে nil.babu+GPSM@gmail.com ঠিকানাতে মেইল করলেও ছবি আপলোড হবে। এছাড়াও এখান থেকে ব্লগারে এবং ফ্লিকারে ছবি আপলোড করা যাবে।
  • ফাইল মিনিমাইজার’ দ্বারা ছবি কমপ্রেস করাঃ
ছবি মেইল করতে বা সংরক্ষণ করতে ছবিকে বিভিন্ন আর্কাইভ সফটওয়্যার দ্বারা কমপ্রেস বা সংকুচিত করতে হয়। ছবিগুলো কমপ্রেস করলে ইমেজ ফরম্যাট থেকে আর্কাইভের ফরম্যাটে তৈরী হয়। যদি ছবিগুলোকে ছবির নিজস্ব ফরম্যাটেই রেখে কমপ্রেস করা যেত তাহলে কেমন হতো! ছবি কমপ্রেস করার এমনই একটি দারুন সফটওয়্যারটি হচ্ছে ‘ফাইল মিনিমাইজার পিকচারস’। এই সফটওয়্যার দ্বারা ছবিগুলোকে ৯৫% পর্যন্ত কমপ্রেস করা যায়। ৫ মেগাবাইটের মত ফ্রিওয়্যার সফটওয়্যারটি www.balesio.com/fileminimizerpictures থেকে ডাউনলোড করা যাবে। ছবি সংকুচিত করে সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে চালু করুন। এবার Opens File বাটনে ক্লিক করে ছবিগুলো আনুন এবং Optimize Files বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে ছবিগুলো রাখা আছে সেই ফোল্ডারে ছবিগুলো নতুন নামে কমপ্রেস হয়ে সেভ হবে। এছাড়াও এক বা একাধিক ছবির উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে File minimizer 2.x এ ক্লিক করলে ছবিগুলো ফাইলমিনিমাইজারে খুলবে এখানে Optimize Files বাটনে ক্লিক করলেই হবে।
  • ফটোশপে সাদাকালো ছবি রঙিন করুনঃ
এডোবি ফটোশপ দিয়ে ইচ্ছে করলে যেকোনো সাদাকালো ছবি রঙিন করা যায়। এ জন্য যে ছবিটি রঙিন করবেন প্রথমে তা ফটোশপের মাধ্যমে খুলুন। এবার Image/Mode থেকে CMYK Colour নির্বাচিত করুন। এখন Q চেপে quick mask মুডসক্রিয় করুন। এবার ব্রাশ টুল থেকে ব্রাশ নিন এবং ছবির যে অংশটুকু রঙিন করতে চান সেটুকু সতর্কতার সঙ্গে পেইন্টকরুন। সবার আগে ত্বকের অংশ দিয়ে শুরু করুন। ব্রাশের কাজ শেষ হলে Q চেপে নরমাল মুডে ফিরে আসুন। খেয়াল করুন ছবিটিতে সিলেকশন তৈরি হয়েছে। এবার Select/Inverse-এ Ctrl+Shift+I ক্লিক করুন। এবার Layer থেকে New Adjustment Layer-এ যান। Colourize-এ টিক চিহ্ন দিন এবং এখানে Shadows, Midtones ও Highlights-এর স্লাইডারমুভ করতে থাকুন যতক্ষণ না মনের মতো রং, পাচ্ছেন। আর একটু নিখুঁত করার জন্য Layer/New Adjustment Layer/Curves এ যান এবং এখানে যে চেক বক্স আসবে তাতে একট নাম দেওয়ার জন্য OK করুন। এবার File/Save as-এগিয়ে ছবিটি jpEg ফরম্যাটে সংরক্ষণ (সেভ) করুন।
এখন জানবো ফটোশপে কি করা উচিৎ নয়ঃ
আমরা যারা ডিজাইনার এবং ফটোশপ ব্যবহার করি তাদের একেকজনার কাজের ধারা একেক রকম। একই কাজ একেকজন ডিজাইনার ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে করে থাকেন। আর এভাবে কাজ করতে গিয়ে আমরা এমন কিছু পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকি যেগুলোকে ফটোশপে বদঅভ্যাস বলা যেতে পারে। এভাবে কাজগুলো না করলে আমাদের কাজ হয় অনেক নিখুঁত, অনেক দ্রুতগতির সর্বপরি ডিজাইনটা হবে অনেক সমৃদ্ধ। আজকের আলোচনার বিষয় হলো এরকম ১০টি বদঅভ্যাস যেগুলো ডিজাইনার হিসেবে এখনি আমাদের ত্যাগ করা উচিত।
  • সিঙ্গেল লেয়ারে কাজ করা
  • লেয়ার মাস্ক না ব্যবহার করা
  • কিবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার না করা
  • পিক্সেল রোটেট করতে গিয়ে স্মার্ট অবজেট ব্যবহার না করা
  • এ্যডজাস্টমেন্ট লেয়ার ব্যবহার না করা
  • লেয়ার গুলোকে সঠিক ভাবে না সাজানো
  • যখন যা মনে আসে সেভাবে ফিল্টার ইফেক্ট দেয়া এতে ডিজা্নের 12টা বাজবে সে বিষয় ভুলে যাওয়া।
  • ফটোশপের একই ক্যানভাসে আমাদেরকে অনেকসময় একাধিক ইমেজ নিয়ে কাজ করতে হয় অথবা অনেক বড় ক্যানভাস নিয়ে কাজ করা লাগে। সেক্ষেত্রে পুরো ইমেজটি আমরা মনিটরের পর্দায় দেখতে পাইনা। তাই আমাদেরকে নেভিগেশান করার কাজটি করা লাগে। অধিকাংশ ফটোশপ ব্যবহারকারীগন ডানে ও নীচের স্ক্রলবার টেনে এই কাজটি করেন। দ্রুতগতিতে কাজটি করার জন্য কী-বোর্ড এর ব্যবহার শিখে নিন।
  • ফটোশপের কাজটাই তো ইমেজ নিয়ে। আর ইমেজগুলোকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে না রাখলে কাজ করার সময় মাথা নষ্ট পুরাই। তবে ফটোশপের সহযোগী হিসেবে সিএস২ ভার্সন থেকে চালু হয়েছে ইমেজ অর্গানাইজ করে রাখার সাপোর্ট প্রোগ্রাম এডোবি ব্রীজ Adobe Bridge. নামকরা ডিজাইনারগন এমনকি স্বনামধন্য ফটোগ্রাফারগন তাদের ইমেজ সুন্দরভাবে সাজাতে ও দরকারী ইমেজ সহজে খুঁজে পেতে Adobe bridge ব্যবহার করে থাকেন। তবে আমরা অনেকেই হয়ত এটি ব্যবহারে মনোযোগী নই। এডোবি ব্রীজে মনোযোগী হন। ইমেজ ঘুচিয়ে রাখার সব দুঃশ্চিন্তা নিমিষেই উধাও।
  • আমরা সবাই জানি পিএসডি ফরমেট হলো ফটোশপের ফাইল ফরমেট। ধরুন আপনি কোন ক্লায়েন্টের একটি প্রজেক্ট করছেন কমপ্লিট করেছেন। এপ্রুভ হলো। আপনি ক্লায়েন্টকে চাহিদা অনুযায়ী আউটপুট দিলেন। মনে রাখবেন ক্লায়েন্ট কখনোই ফাইলটি সংরক্ষন করবেনা। কিন্তু ১৫ দিন পর ঐ ক্লায়েন্ট পুনরায় ঐ কাজটি সামান্য একটু মোডিফাই করে আবার করতে দিলো। যদি আপনি ফাইলটি পিএসডিতে সেভ করে সংরক্ষন না করেন তাহলে কি করবেন? নতুন করে কাজ করে দিবেন? নতুন করে কাজ করলে এক রকম নাও হতে পারে। সেজন্য সব কাজ করার পরে পিএসডি ফাইল রাখতেই হবে। এতে ভুল করা যাবেনা।
(ফটোশপের যাবতীয় কার্যাবলী আয়ত্ব করতে আমাদের গ্রাফিক স্কুলের ফটোশপ ডিভিডি অথবা ইউটিউব চ্যানেলে চোখ রাখুন)।
আশা করি ফটোশপ সম্পর্কে আপনাদের ভালোভাবে জ্ঞানার্জন হয়ে গেছে। আমাদের এরকম আরও কিছু হেল্পফুল ব্লগ পড়ার জন্য ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। সবাই সাথেই থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।

Search Tags: photoshopphotoshop tricksphotoshop worktips for photoshoptricks for photoshopwork for photshop

No comments

Powered by Blogger.